Pages

Tuesday 31 March 2015

হে মানুষ, কখনো চিন্তা করে দেখেছ?




হে মানুষ, কখনো চিন্তা করে দেখেছ?
--------------------------------------তোমার লেখক
১। ঠিক মেশিনের মতো সয়ংক্রিয়ভাবে তোমার চোখ দুটি কিভাবে পলক ফেলে অথচ তোমার এতে কোন নিয়ন্ত্রন নেই।
২। তোমার হার্ট একটি নির্ধারিত তালে তালে বিট করছে এখানেও তোমার কোন নিয়ন্ত্রন নেই।
৩। তোমার ফুসফুস একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে ব্রিদিং এর কার্যে নিয়োজিত যেটি তোমার বাঁচা মরা নির্ধারণ করছে অথচ এখানেও তোমার কোন হাত নেই।
৪। তোমার খাদ্য গ্রহনের সময় চর্বিত খাদ্য শ্বাস নালিতে না ঢুকে খাদ্য নালিতেই ঢুকছে, সয়ংক্রিয়ভাবে খাদ্য হজম হচ্ছে, শক্তি উৎপাদন হচ্ছে যাতে তোমার কোন রকম নিয়ন্ত্রণ নেই।
৫। তোমার বড় হওয়া, বাঁচা, মরা কিচ্ছুতে তোমার এতটুকুও কন্ট্রল নেই।

তাহলে ভেবে দেখ, তুমি আসলে তোমার না। তোমাকে পুরোপুরি অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। যেখানে তোমার নিজের উপরই তোমার অাধিপত্য নেই সেখানে এত্ত ভাব নিয়ে লাভ নেই। যে মহান স্বত্তা তোমাকে ভালবেসে তৈরি করেছেন তাঁকে আজ থেকে এখন থেকেই ভালবাসা শুরু কর।
এভাবেই আসবে সফলতা।
আল্লাহ তোমার ভালবাসার অপেক্ষায় আছেন।..................

Sunday 8 March 2015

হেথা হেরি তব মুখ



হেথা হেরি তব মুখ
     ---তোমার লেখক

হেথা হেরি তব মুখ, 
রুদিছে কান্না, আনন্দঘণ সুখ
যেথা অবলোকিছে, বিশ্ব লয়ে খেলিছে
আসিছে..খেলিছে 
আজ সৃষ্টিতে 
আনন্দের বৃষ্টিতে 
মনের কোনের কৃষ্টিতে 
গাঁয়ের মাটিতে
একা পথে হাটিতে
সবুজের ঘাটিতে
গেঁয়ো বধুর বাটিতে
কে যেন কি চাইছে
বলিতে সুখের বণ্যায়
আনন্দের কান্নায় 
ধুলোর পায়ে মূখরিছে
গন্ধে চারিদিক
ছুটিছে দিকবিদিক

Friday 6 March 2015

প্রিয়তম মোর



প্রিয়তম মোর
---তোমার লেখক

প্রিয়তম,

কিছু কথা বলবো তোমায়। কথাগুলো না বললে তুমি কখনো জানবে না আমিই বা তোমার কে। মনের কথা বলছি সোনা তোমায়। তুমি আমার স্রষ্টার পক্ষ থেকে আশীর্বাদ, আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বণ। তুমি পাশে আছ বলেই মনের অনেক দুঃখ, প্রাণের গভীরের কষ্ট, হৃদয়ের ক্ষত ও ব্যথা ভুলে থাকতে পারি। একটু হাসতে পারি শুধু তুমি পাশে আছ বলেই। আমি হয়তো তোমারই অপেক্ষায় ছিলাম। আর সেই তুমি যদি আমাকে সামান্যটুকু কষ্ট দাও, তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে হয়। তখন পারিনা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে। আর কিচ্ছু জানি না শুধু জানি তোমাকে অ-নে-ক ভা-ল-বা-সি।

ইতি
তোমার হৃদি

এই বেয়াদ্দপ, মাইর দেব কিন্তু........




এই বেয়াদ্দপ, মাইর দেব কিন্তু........
---তোমার লেখক

বকাতে তোমার সোনার বুলি
বকো তুমি ‘এই বেয়াদ্দপ বলি’
এরই মাঝে তোমার ভালবাসা
বুঝবে না কেউ মধুর এ ভাষা

অনেকে আজব ভাববে আমায়
হয়তো ভুল বুঝবে তোমায়
কো্ন্  প্রেম এ বকার মাঝে
মধুর শুনি সকাল সাঁঝে?

বকার একটু পরেই বলো-
     ‘এই শোনো না!’
কার সাধ্য তা না শোনা?
তোমার কণ্ঠের প্রতিটি বুলি
আমার সাধ্য নেই ভুলি
ভুলবো না এই কথা দিলাম
এখনো আছি আগেও ছিলাম

যত খুশি বকো মোরে
রেখো কিন্তু বাহুডোরে
দুষ্টুমি যখন মাত্রা ছাড়ায়
‘মাইর দেব’ বলে বকো আমায়
সুমধুর তাই লাগে ভালো
সত্যি সত্যি নিত্য বলো

যখন বলি ‘তব পায়ে স্থান দিও’
তুমি বলো.....
এই বেয়াদ্দপ,
হৃদয় তোমার, হৃদয় নিও।

Thursday 5 March 2015

আমার বাবা............



আমার বাবা............
 ----তোমার লেখক

যারা তোমাদের আব্বুকে অনেক ভালবাস তাদের জন্য এ গল্পটি..........


ছোট্ট মেয়ে অন্তর। এখন ওর বয়স 6। এক বছর থেকেই বাবা ভক্ত। বাবা খেল কিনা, মশারি খাটিয়েছে কিনা, শীতে কাঁথা গাঁয়ে জড়িয়েছে কিনা, পানি লাগবে কিনা................আরো কত কি। ছোট্ট মেয়ে সাধ্য মত খেয়াল রাখে বাবার দিকে। বাইরে কাজে যাওয়ার সময়ে দৌড়ে গিয়ে বাবার জুতা মুছে দেয়। বাবাকে টাটা দিয়ে বিদায় জানায়। খুব সুখে যাচ্ছিল অন্তরদের সংসার।
.........একদিন.............
বাবা রাতে বাড়ি ফেরার পথে গাড়ির নিচে চাঁপা পড়ে ডান পা খুয়োন। আয় রোজগার নেই বললেই চলে। মাও শিক্ষিত, কিন্তু চাকরি করতেন না.........মানুষের বাড়ি কাজ করাও সম্ভব না। চাকরিও নেই। তিন বেলার পরিবর্তে কোনমতে এক বেলা খাবার জোটে অন্তরদের পরিবারে। বাবার আর এ কষ্ট সহ্য হয় না। ঠিক করেন ঢাকায় গিয়ে চাকরি করবেন এবং বাড়িতে স্ত্রী ও অন্তরের জন্য মাসে মাসে টাকা পাঠাবেন। কোনভাবেই অফিসের চাকরি ম্যানেজ করতে পারলেন না অন্তরের আব্বু। শেষমেষ সাইফুরসের বিল্ডিং এর নিচে দাড়োয়ানের চাকরি পেলেন। 3000 টাকা বেতন। খাবার ও থাকার খরচ নিজের।
অন্তরের বাবা চিন্তা করলেন কোন মেসে গেলে ভাড়া 1000 এবং খাবার 1200 টাকা চলে যাবে। 800 টাকা দিয়ে মেয়ের পড়াশুনার খরচ, খাবার খরচ মেটানো সম্ভব নয়। তাই সকালে একবার খেয়েই কাটিয়ে দেন পুরো দিন। রাতে একটু পানি ও কয়েক মুষ্ঠি মুড়ি।
এদিকে অন্তর মাকে বারবার জিজ্ঞেস করে ‘বাবা ঠিকমত খায় তো? মশারি খাটিয়ে ঘুমায় তো? কে তার জুতো মুছে দেয় বাইরে যাবার সময়? মাকে খুব অনুরোধ করে বাবাকে ফোনে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। অন্তর একদিন রাতে কথা বলে বাবার সাথে................
বাবা, তুমি রাতের খাবার খেয়েছ? আমরা খেয়েছি.........ছোট মাছ দিয়ে গরম ভাত। আব্বু কি মজা লেগেছে! তুমি বাসায় থাকলে আগের মত খাইয়ে দিতাম আব্বু। বাবার চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। মনে মনে ভাবছে তুমি গরম ভাত খেতে পারছ এর জন্যই তো আমি ঢাকায় থাকছি। আম্মু তুমি জাননা কিভাবে কাটাচ্ছি আমি। অন্তর বলে, আব্বু, তুমি কি খেয়েছ? ‘হিম’...........“কি খেয়েছ আব্বু?” .....এই তো ড্রাইড রাইস, ফ্রেশ ওয়াটার............পেট ভরে খেয়েছি মা। “ভাল আব্বু। আচ্ছা, তুমি কি এখন ঘুমাবে? মশারি খাটিয়েছ? আমি থাকলে খাটিয়ে দিতাম আব্বু। বাবা মনে মনে বলে.........মারে আমি তো মাটিতে ঘুমাই। একটা প্লাস্টিকের পাটি..একটি বালিশ। মশারি খাটানো যায় না”.......তাড়াতাড়ি বাড়ি এস তোমার গলা ধরে ঘুমাবো। আব্বু..........মাকে বলবানা........আমি রাতে ঘুমাই না। তোমার কথা চিন্তা করি। তারপর দোয়া করি, তারপর ঘুমিয়ে পড়ি।”
ওকে অন্তর আম্মু মাকে বলবো না। কিন্তু তুমি না ঘুমালে আমিও তো ঘুমাতে পারিনা। তুমি আজ থেকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো.........তাহলে আমারও ঘুম আসবে। “ঠিক আছে আব্বু”।
এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন.........বেড়ে উঠছে অন্তর। একদিন বিয়ে হয়ে যাবে.........বাবা এখনকার মতই একা হয়ে পড়বে। সব সুখ ত্যাগ করে ছোট্ট অন্তরের জন্য ঢাকায় দাড়োয়ানের কাজ করছে।
এই তো বাবা............ত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ। বাবার মত কি কেউ হয়? যাদের তোমাদের আাব্বু আছে তারা কি কখনো চিন্তা করে দেখেছ? আব্বু তোমার জন্য কি সয়ে যাচ্ছেন? কেন?
চল.....আজ বাবার হাতটি ধরে কাছে গিয়ে বলি “ আব্বু, তোমাকে আমি অনেক ভালবাসি। তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা অাব্বু”।

শুভ নব বর্ষ

শুভ নব বর্ষ
 ---তোমার লেখক

নতুন বছরের সুচনা,
ভুলিয়া পিছের যাতনা,
দিলাম শুভেচ্ছা কতনা,
মন থেকে এই কামনা,
নতুনের লাগি বাসনা,
কে এল কেউ এল না,
কিচ্ছু যায় আসে না,
চল দেই রওয়ানা,
যেথায় মোদের ঠিকানা,
যদি বল চিনি না,
মোটেই তা মানি না,
নতুনের হাত ধরনা,
ফুল দিয়ে বরণা!

I Will Prove Then…




I Will Prove Then…
                                           --- Your Writer

If the time ever comes
you are in doubt about my love
If the time ever comes
I am too close but you think me far
Then,
I will prove by sacrificing my life
That I love you too much.

Mind is like a sperm
After entering the inside of the egg, it cannot come out
You're my egg
I've entered
There is no way out
Neither I want to be out
Even you cannot force me to be out
Here I am
Look at me
I am in you, settled in you for eternity

প্রমাণ তখন দেব





প্রমাণ  তখন দেব
---তোমার লেখক

যদি কখনো এমন সময় আসে
যে আমার ভালবাসা নিয়ে তোমার সন্দেহ হয়
যদি কখনো এমন সময় আসে
যে আমি অতি কাছে তাও তুমি দূরে মনে করো
তখন,
জীবন দিয়েই হয়তো প্রমাণ দেব
আমি তোমায় কতটা বেশি ভালবাসি।

মন হচ্ছে শুক্রাণুর মতো
একবার ডিম্বানুর ভিতর প্রবেশের পর আর বের হতে পারে না
তুমি হচ্ছো আমার ডিম্বানু
প্রবেশ করেছি আমি
বের হওয়ার উপায় নেই
বের হওয়ার ইচ্ছেও নেই
তুমি চাইলেও বের করতে পারবে না
এই তো আমি
আমাকে চিনে রাখো
আমি তোমার মধ্যে, অতি মধ্যে অবস্থান গড়েছি।

প্রাণ ফিরে আসে ....




প্রাণ ফিরে আসে ....
--তোমার লেখক

মোর দেহ মধ্যে প্রাণ নেই
যখন তুমি কাছে নেই

প্রতিক্ষার কত প্রহর গুনে
মিলি শেষে তোমার সনে

পাশে বসি চোখাচোখি
একটু আধটু দেখাদেখি

এতে নাহি ভরে মন
অপেক্ষায় আর কতক্ষণ?

হাতে হাত অবশেষে
ছুঁয়ে যাও ভালবেসে

পায়ে পায়ে গাঁথাগাঁথি
স্পর্শি যে তোমায় সাথী

শেষে আসে ফিরে প্রাণ
এই তো মোদের হৃদের টান।